বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

মেয়েরা পুরুষের কাছে যে ১০টি বিষয় আশা করে

পরস্পর ভিন্ন সত্ত্বার দু’জন মানুষ একে অপরের থেকে যথেষ্ট আলাদা। তার ওপর যদি প্রশ্ন আসে নারী-পুরুষের, তাহলে তো এই পার্থক্য অনেক বেশি। বিপরীত লিঙ্গ হওয়ার কারণে পরস্পরের প্রতি এরা আকর্ষণ অনুভব করে ঠিকই কিন্তু হরমোনজনিত কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে, এদের মানসিকতা অনেক বেশি আলাদা। ফলে মানিয়ে চলাটা এক্ষেত্রে খুব বেশি জরুরি। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ছেলেরা কিছুটা নিজে উদ্যোগী হলে সম্পর্কটা হতে পারে আরো সুখের। মেয়েরাও চায় এই বিষয়গুলো সঙ্গী নিজে বুঝুক এবং করুক। আসুন জেনে নেই এমনই ১০টি কাজ।


সে যখন কথা বলে, মন দিয়ে শুনুন:
বেশিরভাগ ছেলেই সঙ্গীনি কথা বললে নিজ ব্যস্ততার কারণে বা গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে মন দিয়ে শোনেন না। কাজটা অত্যন্ত ভুল। সঙ্গীনি আপনার কাছে কোনো প্রতিউত্তর আশা করে না। সে চায়, আপনি শুধু মন দিয়ে শুনুন। তাতেই সে খুশী। এবং আপনার কাছে তার এই প্রত্যাশা সে কখনো মুখ ফুটে বলবেও না। নীরবে অপেক্ষা করবে, চাইবে আপনি এর প্রয়োজনীয়তা বুঝে নিজেই উদ্যোগী হবেন তার কথা শুনতে।

আরো বেশি সহানুভূতিশীল হোন:
মানুষ মাত্রই রাগ-দুঃখ-অভিমান ইত্যাদি আবেগে সমৃদ্ধ। কারোর প্রকাশ একটু বেশি, কারোর কম। তবে রাগ প্রকাশের ক্ষেত্রে ছেলেরা একটু বেশি এগিয়ে। অনেক সময় দেখা যায়, অন্যের ওপরের রাগও প্রিয়জনের ওপর ঝেড়ে দেয় ছেলেরা। কিন্তু আপনি কী জানেন, আপনার এই কাজ কতখানি আঘাত করতে পারে আপনার সঙ্গীনিকে? মেয়েরা একটু বেশি অভিমানী হয়। আপনার এক মুহূর্তের এই ভুল আচরন সম্পর্ককে ঠেলে দিতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে। কাজেই সহনুভূতিশীল হোন, সঙ্গীনির মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন।

আবেগী হোন:
ধরুণ, আপনি আপনার সঙ্গীনিকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। কিন্তু কখনো এই আবেগ প্রকাশ করলেন না। তাতে কী লাভ হলো। হয়তো বলবেন, সবসময় কী এসব প্রকাশ করা যায় নাকি! কিন্তু বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সঙ্গীনি আপনার কাছে আবেগের এই প্রকাশ চায়। তাই বলে আপনি আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে একদম আবেগপ্রবণ হয়ে যাবেন, তা কিন্তু কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয় সঙ্গীনির কাছে।

কথা বলুন:
অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান চলে আসে শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমে। আবার ঠিকভাবে কথা না বলায়ও সৃষ্টি হতে পারে বড় বড় সমস্যার। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কথা বলাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। আপনি একটা কিছু মনে রেখে দিলেন সঙ্গীনিকে প্রশ্ন না করেই, তাহলে কোনো এক সময় এই নীরবতাই সম্পর্কে টেনে আসবে তিক্ততার। আর তাই মেয়েরা চায় আপনি কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করুন এবং তার সাথে কথা বলুন সব বিষয়ে।

নিজেকে উন্নত করুন:
মেয়েরা সবসময়ই সঙ্গীকে নিয়ে নিজ পরিবারে, বন্ধুমহলে, পরিচিতদের কাছে গর্ব করতে ভালোবাসে। আপনাকে যদি গর্ব করার কোনো বিষয়ই খুঁজে না পান সঙ্গীনি, তাহলে কোনো এক সময় সম্পর্কে হয়তো তিক্ততাও নেমে আসতে পারে। একারণে মেয়েরা চায়, সঙ্গী নিজ চেহারা থেকে শুরু করে সববিণয়ে নিজেকে আগের চেয়ে আরো উন্নত করুক। কিন্তু হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই আপনি কষ্ট পাবেন বলে তারা তা প্রকাশ করে না। তারা চায়, আপনি এবিষয়টা নিজেই বুঝে নিন।

রান্না করুন:
পুরুষ রান্না করতে পারুক আর না পারুক- মেয়েরা চায়, সঙ্গী মাঝে মধ্যে তাকে রান্নাঘর থেকে ছুটি দিক। নিজে রান্না করে তাকে খাওয়াক। সে জানে, আপনি রাঁধুনি হিসেবে খুবই খারাপ। হয়তো সে খাওয়ার সময় আপনার রান্নার সমালোচনা করবে। তবু হলফ করে বলে দেওয়া যায়, সঙ্গীনি আপনার কাছে এই ব্যাপারটা প্রত্যাশা করে মনেপ্রানে। কিন্তু এবিষয়েও তারা অপ্রকাশিত। তারা চায়, আপনি নিজ দায়িত্বে বুঝে নিন এটা।

আস্তে গাড়ি চালান:
আপনি হয়তো গতি ভালোবাসেন। কিন্তু আপনার সঙ্গীনি সবসময়ই চায়, আপনি আস্তে ড্রাইভ করবেন। আপনার আনন্দের কথা মাথায় রেখে হয়তো এবিষয়েও কিছু বলবে না কিন্তু প্রত্যাশা করবে, আপনি ব্যাপারটা বুঝুন।

স্বৈরতান্ত্রিক অভ্যাস পরিত্যাগ করুন:
সঙ্গীনি আপনার কাছে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে কিন্তু আপনার স্বৈরশাসকের মতো আচরণ পছন্দ করে না। সে আপনার সম্পত্তি নয়, সঙ্গীনি- কথাটা মাথায় রাখতে হবে আপনার। কাজেই তার ওপর কিছু চাপিয়ে দিয়ে সম্পর্কের তিক্ততা ডেকে আনবেন না।

রোমান্টিক হতে চেষ্টা করুন:
মেয়েরা খুব বেশি রোমান্স প্রিয় হয়। কাজেই আপনি যতই কাঠখোট্টা হবেন, তত বেশি অসন্তোষ জমবে সম্পর্কে। কিন্তু এই প্রত্যাশার ব্যাপারেও সঙ্গীনি সবসময় নীরব থাকবে। সে চাইবে, ব্যাপারটা আপনি নিজে বুঝে নিন।

সৎ হোন:
এই বিষয়টি সর্বশেষে আনা হলেও এটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সঙ্গীনি কখনোই চাইবে না, আপনি মিথ্যে কথা বলুন তার সাথে। হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই সে আপনার মিথ্যে বুঝতে পেরেও নীরব থাকবে, প্রত্যাশা করবে আপনার সত্য বলার। কিন্তু একবার অবিশ্বাস জমে গেলে সম্পর্কের জন্য তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাজেই মেয়েরা সবসময় প্রত্যাশা করেন, আপনি সত্যবাদী হোন।

#SA

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন