বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

এন্ড্রয়েড (Android)


এন্ড্রয়েড কি? (What is Android?)
এন্ড্রয়েড হলো স্মার্টফোনের জন্য তৈরি এক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, যেখানে মিডলওয়্যার (একাধিক এপ্লিকেশনের মধ্যে সহজ যোগাযোগের জন্য মিডলওয়্যার (Middleware) ব্যবহৃত হয়ে থাকে) ও কিছু বিল্ট-ইন এপলিকেশনও রয়েছে। ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কম্পিউটার যেমন উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, ম্যাক ওএস, লিনাক্স নামের বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চলে তেমনি স্মার্ট মোবাইল ফোনের (স্মার্টফোনর) একটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম এন্ড্রয়েড। এই এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে নিয়ে আসে গুগল। স্মার্টফোনর –এর আরো কিছু অপারেটিং সিস্টেম- নকিয়ার সিম্বিয়ান, এপলের iOS, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন ইত্যাদি।

এন্ড্রয়েড ফোন বা এন্ড্রয়েড মোবাইল (Android Phone or Android Mobile)
সহজ ভাষায় বলা যায়, যেসব মোবাইল ফোন এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে সেগুলোকেই এন্ড্রয়েড ফোন বা এন্ড্রয়েড মোবাইল বলে। এসার (Acer), অ্যালকেটেল (Alcatel), ডেল (Dell), গিগাবাইট (Gigabyte), এইচটিসি (HTC), হুয়াই (Huawei), এলজি (LG), মটোরোলা (Motorola), নেক্সাস (Nexus), সনি (Sony)স্যামসাং (Samsung), টি-মোবাইল (T-Mobile), তোশিবা (Toshiba), ভোডাফোন (Vodaphone), জেডটিই (ZTE) প্রভৃতি বড় বড় প্রায় সব কোম্পানী এই এন্ড্রয়েড মোবাইল তৈরি করে থাকে। তবে এই ধরনের বড় বড় সব কোম্পানীর এন্ড্রয়েড ফোন বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে যে সমস্ত কোম্পানীর এন্ড্রয়েড ফোন পাওয়া যাচ্ছে তা হলঃ সনি (Sony)স্যামসাং (Samsung), এলজি (LG), মটোরোলা (Motorola), এইচটিসি (HTC), মাইক্রোম্যাক্স (Micromax)সিমফোনি (Symphony)ওয়ালটোন (Walton)। এছাড়া আরও কিছু কিছু কোম্পানী বর্তমানে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে মোবাইল ফোন তৈরি করছে। তবে বাংলাদেশে গ্রাহক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে সনি,স্যামসাংসিমফোনিওয়ালটোন ও মাইক্রোম্যাক্স –এর স্মার্টফোন গুলো।

এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন বা এন্ড্রয়েড অ্যাপস (Android Application or Android Apps)
আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করি। প্লাটফর্ম অনুযায়ী সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। যেমন উইন্ডোজের জন্য তৈরি সফটওয়্যার ম্যাক বা লিনাক্সে চলবেনা। তেমনি আইফোনের জন্য তৈরি সফটওয়্যার এন্ড্রয়েডে চলবেনা। এন্ড্রয়েড ফোন বা এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে এমন সফটওয়্যার, গেম, উইজেট বা অ্যাপস গুলোই হল এন্ড্রয়েড এপলিকেশন বা এন্ড্রয়েড অ্যাপ

এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোড (Android Apps Download)
গুগলে “Android Apps Download” নামে সার্চ দিতে অসংখ্য এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোডের লিঙ্ক চলে আসবে। কিন্তু সব জায়গা থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করে আপনার ফোনে ইন্সটল করে অনেক রকম ঝামেলায় পড়তে পারেন, এমনকি আপনার স্মার্টফোনটি সারা জীবনের জন্য ডেড (অকেজো) হয়ে যেতে পারে। তাই না জেনে বা বুঝে যে কোনো ওয়েবসাইট বা লিঙ্ক থেকে অ্যাপস ডাউনলোড না করে গুগল প্লে থেকে সরাসরি ইন্সটল করে নেয়া ভালো। আর আপনার মনের মত অ্যাপটি খুজে নিন অনলাইন ঢাকা গাইড –এরঅ্যাপস কর্ণার থেকে।
এন্ড্রয়েড ফ্রি অ্যাপস ডাউনলোড করতে প্রথমে আপনাকে জিমেইল (Gmail) বা গুগল (Google) লগ-ইন করতে হবে। এরপর google.com –এ যেয়ে গুগল প্লে (Play) সিলেক্ট করতে হবে। এখান থেকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে Top Free বাটনে ক্লিক করতে হবে। যে সব অ্যাপস ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে শুধু সেগুলো দেখা যাবে। তবে এভাবে শুধুমাত্র এন্ড্রয়েড ফোন থেকেই ডাউনলোড করা যাবে। এটা মূলতঃ ডাউনলোড নয়, এভাবে অ্যাপসটি আপনার ফোনে সরাসরি ইন্সটল হয়ে যাবে। কম্পিউটার থেকে সহজে এই কাজটি করার পদ্ধতি নিচে দেয়া হল।

কম্পিউটার থেকে এন্ড্রয়েড অ্যাপস ইন্সটল করার পদ্ধতি (Install Android Apps Through Computer)
  • প্রথমে আপনার ফোনের ইন্টারনেট এবং কম্পিউটারের ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে নিন। দুইটিতেই ইন্টারনেট কানেকশন থাকা বাধ্যতামূলক। ফোনে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন দেয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন ওয়াই-ফাই কানেকশন (ওয়াই-ফাই জোন) থাকাই ভালো। কেননা আমাদের মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট কানেকশন অনেক দূর্বল হয়, স্পীড কম থাকে এবং মাঝে মাঝেই ডিসকানেক্ট হয়ে যায়।
  • এরপর আপনার ফোন থেকে জিমেইল (Gmail) বা গুগল (Google) লগ-ইন করতে হবে। লগ-ইন হয়ে গেলে এক্সিট (Exit) না দিয়ে সরাসরি বের হয়ে আসুন (অথবা না বের হলেও ফোনে আর কোনো কাজ না করাই ভালো)।
  • এরপর কম্পিউটার দিয়েও জিমেইল (Gmail) বা গুগল (Google) লগ-ইন করতে হবে। এখানে লক্ষনীয় যে, আপনি যে গুগল বা জিমেইল একাউন্ট দিয়ে ফোনে লগ-ইন করেছিলেন, ঠিক ঐ একাউন্ট দিয়েই কম্পিউটার থেকে লগ-ইন করতে হবে।
  • কম্পিউটারে যে ব্রাউজার থেকে গুগল লগ-ইন করেছে, ঐ ব্রাউজার থেকে google.com –এ প্রবেশ করে Play তে ক্লিক করুন।
  • এখানে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে টপ ফ্রি তে ক্লিক করুন। এবার যে অ্যাপ টি আপনার পছন্দ হয় সেটিতে ক্লিক করলে সবুজ রঙের বক্সে ইন্সটল (INSTALL) লেখা আসবে। ইন্সটল বাটনে ক্লিক করে যে উইন্ডো আসবে সেটির নিচের দিকে দেখুন লেখা আসবে ডিভাইস – ফোন (phone)। এবার কনফার্ম/ ইন্সটল বাটনে ক্লিক করলে লেখা আসবে “Congratulations! ___ (অ্যাপস টির নাম) will be installed on your device soon.”  এখানে OK করলে কিছুক্ষন পরে দেখবেন আপনার ফোনে অ্যাপস টি ইন্সটল হচ্ছে।
  • এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, যদি আপনার নির্বাচিত অ্যাপস টি আপনার ফোনে চলার মত না হয় বা ঐ অ্যাপস আপনার এন্ড্রয়ের ভার্শন সাপোর্ট না করে, তবে যখন আপনি অ্যাপস টি সিলেক্ট করবেন তখনই INSTALL বাটনের নিচে “This app is incompatible with your device.” লেখাটি দেখতে পারবেন।
  • এভাবে অ্যাপস ইন্সটল করলে আপনার ফোনের ব্যাটারিও কিছুটা বাচাতে পারবেন এবং আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং খরচও বেচে যাবে।

এন্ড্রয়েড ফোনের রুট কি? (What is Root of Android?)
রুট (Root) শব্দটা এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে। লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয়। এন্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম থেকে। এন্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট পারমিশন মানে সিস্টেম ফাইল এডিট করার পারমিশন আদায় করাকে রুট করা বলে। এটাকে ফোন হ্যাক করাও বলা যেতে পারে।

এন্ড্রয়েড ফোনে রুট না থাকার কারন (Why Android Root is not given)
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফোনের কেন এডমিনিস্ট্রেটর পারমিশন “আদায়” করে নিতে হবে? কেন ইচ্ছা করলেই একটা ফাইল ডিলিট করতে পারবেন না? উত্তরটা অনেকটা এভাবে দেয়া যেতে পারে- ফোন ম্যানুফ্যাকচাররা আপনাকে অনেক সুবিধা দিলেও কিছু সুবিধা/পারমিশন তারা দেয় না। এটা করা হয় আপনার ভালোর জন্যই। কারণ আগে থেকে আপনাকে ফোনের মধ্যে যা ইচ্ছা তাই করার অনুমতি দেওয়া থাকলে দেখা যাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইল ডিলিট করে ফেলতে পারেন, অথচ আপনি শুধু চেয়েছিলেন আপনার ফোন মেমোরি বাড়াতে বা অন্য কিছু করতে। এছাড়া আপনি কাস্টমাইজ করতে গিয়ে বা রম ইন্সটল করতে গিয়ে ভুল করলে ফোন ব্রিক (নষ্ট) করে ফেলতে পারেন। এছাড়া ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের কিছু ঝামেলা হতে পারে। কারণ রুট পারমিশন পেলে আপনি যা ইচ্ছা তাই ইন্সটল করতে পারেন, যার কারণে ম্যালওয়ার ফোনে ঢুকে পড়তে পারে।

এন্ড্রয়েড ফোনে রুট করার উপকারিতা (Necessity of Rooting)
রুট করার পর আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে আপনি এমন সব কাজ করতে পারবেন, যেগুলো করার পর আপনি আপনার নিজের ফোনটিই চিনতে পারবেন না। যা যা করতে পারবেঃ
  • কাস্টম রম (Custom ROM): এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটাও হয়ত শুনে থাকবেন যে অনেকে কাস্টম রম (Custom ROM) ইন্সটল করে। অনেকে হয়ত কাস্টম রম ইন্সটল করা ফোন দেখে মনে মনে ভেবেছেন আপনিও করবেন। তাহলে আপনাকে রুট করতেই হবে। কাস্টম রম ইন্সটলের প্রধান শর্ত আপনাকে রুট করতে হবে। ROM হচ্ছে Read Only Memory যা আপনার ডিভাইসটিকে চালায়। ইন্টারনেটে অনেক কাস্টম রম পাবেন যা আপনার ফোনকে শুধু দৃষ্টিনন্দন করে তুলবে তাই নয় ফোনের পারফরম্যান্সও বাড়িয়ে তুলবে। কাস্টম রম ডেভেলপারদের মধ্যে CyanogenMod, Team Rouge, Team EOS, ParanoidAndroid, MIUI ইত্যাদির নাম বেশি শোনা যায়। আপনি ইচ্ছা করলে রম ম্যানেজার দিয়ে আপনার ফোনের সাথে কম্প্যাটিবল (যেটি আপনার ফোনের সাথে মেলে) রম ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আর রম খোঁজার জন্য গুগল প্লে থেকে GooManager ও RomManager ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারেন।
  • কাস্টম থিম (Custom Theme): থিম মানে আপনার ফোন যে গ্রাফিক্সটা প্রদর্শন করছে তা পরিবর্তন করার জন্যেও আপনাকে রুট করা লাগতে পারে।
  • লেটেস্ট এন্ড্রয়েড ভার্সন (Latest Android Version): অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ফোনের ম্যানুফ্যাকচারার ফোনের জন্য আপডেট বন্ধ করে দেয়। যেখানে সবাই এন্ড্রয়েড জেলি বিন পাচ্ছে সেখানে হয়ত আপনাকে আইস-ক্রিম স্যান্ডুইচ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপডেট বন্ধ করার যুক্তিযুক্ত কারণ থাকলেও আপনি কেন এন্ড্রয়েডের পুরোনো ভার্সন নিয়ে পড়ে থাকবেন। নতুন ভার্সন আপনার ফোনে সেটা ইন্সটল করতে চাইলে, রুট করতে হবে।
  • কাস্টম কার্নেল (Custom Carnal): এন্ড্রয়েড ডিভাইস রম দিয়ে চললেও, কাজগুলোর কমান্ড বা নির্দেশ দেওয়া হয় কার্নেলের মাধ্যমে। আপনি যখন ফোনের স্ক্রিনে টাচ করেন তখন টাচ পয়েন্টের কো-অরডিনেট বা কোথায় টাচ করেছেন সে তথ্য যায় কার্নেলে। কার্নেল তখন সংশ্লিষ্ট এপ্লিকেশনকে টাচ অনুযায়ী কাজ করতে বলে। বুঝতেই পারছেন কার্নেল কত জরুরি। আপগ্রেডেড কার্নেল ব্যবহার করে আপনার ফোনের পারফরম্যান্স বাড়ানো সম্ভব।
  • ব্যাটারি এবং ফোন স্পিড কন্ট্রোল (Battery and Phone Speed Control): রুট করার পরে যদি কাস্টম রম ইন্সটল করেন তবে আপনার ফোন কিভাবে চালাবেন অর্থাৎ সিপিউ ইউসেজ কেমন চাচ্ছেন তার কিছু অপশন পাবেন যেমনঃ Governer, Performance ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে আপনার ফোনের সর্বোচ্চ স্পিড সর্বনিম্ন ব্যাটারি খরচে পেতে পারেন। এছাড়া ওভারক্লক করে স্পিড বাড়াতে পারেন (ব্যাটারি বেশি খরচ হবে) অথবা আন্ডারক্লক করে দিতে পারেন (ব্যাটারি কম খরচ হবে)। এছাড়াও রুট করার পর গুগল প্লে থেকে No-frills CPU বা Tegrak Overlock অ্যাপস গুলো ইন্সটল করে এগুলো দিয়ে এই কাজগুলো করতে পারবেন।
  • ব্যাকআপ তৈরি (Backup Making): রুট করার সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে ব্যাকআপ তৈরি করা। গুগল হয়ত কিছু ব্যাকআপ সুবিধা দেয় কিন্তু সেটা কন্ট্যাক্টস, ক্যালেন্ডার, জি-মেইল পর্যন্তই। রুট করার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসের সফটওয়্যারের একটা হুবহু কপি করে রাখতে পারবেন এপ্লিকেশন সেটিংস সহ। ধরুন রুট করার পর রম আপগ্রেড করবেন বা কাস্টম রম ইন্সটল করতে মন চাইলো। ইন্সটল করার পরে দেখলেন ভালো লাগছে না। তখন ব্যাকআপ করা থাকলে সেই ফাইলটি ফ্ল্যাশ করলেই আপনার ডিভাইস ঠিক আগের মত অবস্থায় ফিরে যাবে। আপনার মেমোরি কার্ডের ফাইলগুলো পর্যন্ত ফিরে পাবেন একইরকম ভাবে। এজন্য রুট করার পর যা কিছু করার আগে ব্যাকআপ করে নিন। যদি অ্যাপস ব্যবহার করে ব্যাকআপ করতে চান তাহলে Titanium Backup অ্যাপটি দিয়ে করতে পারেন। আর যদি কাস্টম রিকভারি ইন্সটল করে থাকেন (কাস্টম রম ইন্সটল করতে গেলে, কাস্টম রিকভারি অবশ্যই ইন্সটল করতে হয়) তাহলে সেখান থেকেও ব্যাকআপ করতে পারেন
  • মেমোরি ম্যানেজমেন্ট (Memory Management): রুট করার পর আপনার ফোনের অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করতে পারবেন, ফোন মেমোরি থেকে স্টক অ্যাপস মেমোরি কার্ডে নিতে পারবেন। আপনার ফোন মেমোরি যত ফাঁকা করতে পারবেন ততই স্পিড বাড়বে (এজন্য পুরা মেমোরি ফাকা করা যাবে না। অনুগ্রহ করে না বুঝে কোনো ফাইল ডিলিট করবেন না)।
এন্ড্রয়েড ব্যাটারীর রিডিং/ পাঠ (Android Battery Reading)
প্রথম কথা হচ্ছে আপনার ফোনে যে ব্যাটারী রিডিং দেখাচ্ছে তা ঠিক নয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে সব এন্ড্রয়েড ফোনেই ভুল পাঠ দেখায়। আগেকার ফোনগুলোতে চার্জ থাকত অনেক বেশি সময়। কারণ ফোনেগুলোর চার্জিত হওয়ার ধরন ছিল অন্যরকম। ফুলচার্জ হওয়ার পর ফোনের বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিবর্তন হয়ে সর্বোচ্চ চার্জ ধরে রাখার ব্যবস্থা করত। এতে চার্জ হয়ত বেশিক্ষন থাকত কিন্তু ব্যাটারি লাইফ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যেত।
কিন্তু এখনকার স্মার্টফোন গুলো এমন ভাবে তৈরি যেন ব্যাটারি লাইফ বেশিদিন থাকে, ব্যাটারি বেশিদিন যেন টিকে। এজন্য ফুল চার্জ হওয়ার পর ব্যাটারি আর অতিরিক্ত বিদ্যুত নেয় না। ততটুকুই নেয় ফুল চার্জ শো করতে যতটুকু দরকার।

এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার উপায় (How to preserve battery on Android)
ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার জন্য আপনি যে কাজ গুলো করতে পারেন তা হচ্ছেঃ
  • অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলো বন্ধ করে দিন ( Settings > Apps )। এজন্য Android Assistant বা কোন Task Killer App ব্যবহার করতে পারেন।
  • ব্যাটারি মনিটর করুন (Settings > Battery)। দেখুন কোন অ্যাপস বেশি ব্যাটারি টানছে Battery Monitor
  • Network যেমনঃ ওয়াইফাই (Settings > Wifi), 3G/4G (Settings > Mobile Networks), হটস্পট, টেথারিং প্রভৃতি দরকার না থাকলে বন্ধ করে রাখুন। সবসময় 2G Network ব্যবহারের চেষ্টা করুন ( Settings > Mobile Networks)
  • অপ্রয়োজনে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই অন করে রাখবেন না (Settings > Bluetooth)
  • ফোনের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন (Settings > Display > Brightness)। পারলে অটো ব্রাইটনেস দিয়ে রাখুন
  • ফোনের GPS ( Settings > Location services) অথবা Sync/Synchronization (Settings > Accounts & sync) বন্ধ রাখুন।
  • ডিসপ্লে টাইম আউট যথা সম্ভব কম রাখুন
  • পাওয়ার কন্ট্রোল শর্টকাট/widget ব্যবহার করুন
  • ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে “কালো” ব্যবহার করুন
  • Battery Management Apps ইন্সটল করুন। যেমনঃ JuicedefenderDU battery Saver
  • আপনার ফোনের ব্যাটারির ফুল চার্জ হয়ে গেলে চার্জার খুলে আবার চার্জে দিন। এতে করে ব্যাটারি আরো বেশি চার্জ গ্রহন করে। তবে এতে করে ব্যাটারির ক্যাপাসিটি যেমন কমে যায়, তেমনি ব্যাটারির লাইফ টাইম কমে যায়।

এন্ড্রয়েড SDK কি? (What is SDK?)
এন্ড্রয়েড SDK (Software Development Kit), যার সাহায্যে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের জন্য এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করা হয়। এন্ড্রয়েড SDK এর মধ্যে সোর্স কোড সহ স্যাম্পল প্রজেক্ট, ডেভলপমেন্ট টুলস, ইমুলেটর এবং এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট বিল্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এন্ড্রয়েড এপলিকেশন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে লিখা হলেও এন্ড্রয়েড SDK সাহায্যে বিল্ড করা হয়।

এন্ড্রয়েডের API কি?
এপিআই হল, অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (Application Programming Interface বা API) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস হল একটি ইন্টারফেস যা কোন কম্পিউটার, লাইব্রেরি অথবা অ্যাপলিকেশন অন্য অ্যাপলিকেশনকে বিভিন্ন সার্ভিস দেয়ার লক্ষে বা ডাটা বিনিময়ের জন্য প্রদান করে থাকে।
কোন অ্যাপলিকেশনের এপিআই -এর প্রধান কাজ হল কিভাবে একটি কম্পিউটার অ্যাপলিকেশন বা একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার ঐ এপলিকেশনের বিভিন্ন ফাংশনের একসেস পদ্বতিকে বর্ননা করা। এর জন্য ঐ অ্যাপলিকেশনের ফাংশনের সোর্সকোড একসেস করার বা সোর্সকোডের পূর্ণ ব্যাখ্যা জানার প্রয়োজন পড়ে না। এপিআই একটি আবস্ট্রাক্ট ধারণা, যেহেতু এটি একটি ইন্টারফেস।
কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা প্রায়ই অপারেটিং সিস্টেমের এপিআইকে মেমোরী বণ্টন এবং ফাইল একসেস করতে ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সিস্টেম ও অ্যাপলিকেশন এপিআই –এর সুবিধা দেয়। এদের মধ্যে গ্রাফিক্স সিস্টেম, ডাটাবেজ, নেটওর্য়াক, ওয়েব সার্ভিস এমনকি কম্পিউটার গেমস উল্লেখযোগ্য।

এন্ড্রয়েড ভার্সন পরিচিতি (Introduction to Android Versions)
এন্ড্রয়েডের আসল ভার্সনের প্রকাশের পূর্বে বেশ কিছু আপডেট দেখা যায়। এইসব আপডেটগুলো মূল অপারেটিং সিস্টেমে চলার আগে পরিক্ষামূলক দেখা হচ্ছিল যেখানে বিভিন্ন বাগ (সফটওয়্যারের ভুল) ঠিক করা হয় এবং নতুন ফিচার যোগ করা হয়। সাধারণত, নতুন প্রত্যেকটি ভার্সনের কোড নাম থাকে এর উল্লেখ্যযোগ্য পরিবর্তন এবং বাগ ঠিক করার উপর। আগের আপডেটগুলোর মধ্যে আছে কাপকেক এবং ডোনাট। কোড নামগুলো আবার বর্ণানুক্রিমভাবে সাজানো যেমন কাপকেক, ডোনাট, এক্লিয়ার, ফ্রোয়ো, জিঞ্জারব্রেড, হানিকম্ব, আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন। আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ ভার্সনটি জিন্জারব্রেড এবং হানিকম্বের সমন্বয়ে তৈরী একটি অপারেটিং সিস্টেম যাকে কোহেসিভ হোল (cohesive whole) বলা হচ্ছে।
আগস্ট, ২০১৩ ইং পর্যন্ত সর্বশেষ আপডেটেড ভার্সন হল জেলি বিন ৪.৩। আর এরপর এন্ড্রয়েড নিয়ে আসছে “কী লাইম পাই (ভার্সন ৫.০)” নামক ভার্সন। তবে এই ভার্সনটি পেতে হলে ডিভাইস এর কনফিগারেশন অনেক হাই হতে হবে। অফিশিয়ালি বলা হয়েছে যে এই ভার্সনে আপডেট করতে ডিভাইস এর র‍্যাম কমপক্ষে ৫১২ মেগাবাইট হতে হবে এবং ডিভাইসের স্বাভাবিক গতি পেতে হলে সাজেস্ট করা হয়েছে ১ জিবি র‍্যাম।
এন্ড্রয়েডের ভার্সনগুলো
এন্ড্রয়েড ভার্সন
(Android Version)
ভার্সনের নাম
(Code name)
প্রকাশের তারিখ
(Release date)
এপিআই লেভেল
(API Level)
এন্ড্রয়েড ভার্সন ৪.৩
(Android Version 4.3)
জেলি বিন
(Jelly Bean)
২৪ জুলাই, ২০১৩
১৮
এন্ড্রয়েড ভার্সন ৪.২.২
(Android Version 4.2.2)
জেলি বিন
(Jelly Bean)
১৩ নভেম্বর, ২০১২
১৭
এন্ড্রয়েড ভার্সন ৪.১.২
(Android Version 4.1.2)
জেলি বিন
(Jelly Bean)
৯ জুলাই, ২০১২
১৬
এন্ড্রয়েড ভার্সন ৪.০.৩-৪.০.৪
(Android Version 4.0.3–4.0.4)
আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ
(Ice Cream Sandwich)
১৬ ডিসেম্বর, ২০১১
১৫
এন্ড্রয়েড ভার্সন ৩.২
(Android Version 3.2)
হানিকম্ব
(Honeycomb)
১৫ জুলাই, ২০১১
১৩
এন্ড্রয়েড ভার্সন ৩.১
(Android Version 3.1)
হানিকম্ব
(Honeycomb)
১০ মে, ২০১১
১২
এন্ড্রয়েড ভার্সন ২.৩.৩-২.৩.৭
(Android Version 2.3.3–2.3.7)
জিঞ্জারব্রেড
(Gingerbread)
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১১
১০
এন্ড্রয়েড ভার্সন ২.৩-২.৩.২
(Android Version 2.3–2.3.2)
জিঞ্জারব্রেড
(Gingerbread)
৬ ডিসেম্বর, ২০১০
এন্ড্রয়েড ভার্সন ২.২
(Android Version 2.2)
ফ্রোয়ো
(Froyo)
২০ মে, ২০১০
এন্ড্রয়েড ভার্সন ২.০-২.১
(Android Version 2.0–2.1)
এক্লিয়ার
(Eclair)
২৬ অক্টোবর, ২০০৯
এন্ড্রয়েড ভার্সন ১.৬
(Android Version 1.6)
ডোনাট
(Donut)
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯
এন্ড্রয়েড ভার্সন ১.৫
(Android Version 1.5)
কাপকেক
(Cupcake)
৩০ এপ্রিল, ২০০৯
এন্ড্রয়েড ভার্সন ১.১
(Android Version 1.1)
পেটিট ফোর
(Petit Four)
[এটি শুধু HTC Dream মডেলের মোবাইলের জন্য ছিল]
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯
এন্ড্রয়েড ভার্সন ১.০
(Android Version 1.0)
এটি এন্ড্রয়েডের প্রথম বাণিজ্যিক ভার্সন ছিল এবং শুধু HTC Dream মডেলের মোবাইলের জন্য ছিল
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮
এন্ড্রয়েডের ইতিহাস (History of Android)
এন্ড্রয়েডের প্রতিষ্ঠা (Establishment of Android)
এন্ড্রয়েড ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০০৩ সালের অক্টোবরে। এটার প্রতিষ্ঠাতা এন্ডি রুবিন (ডেন্জারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা), রিচ মাইনার (ওয়াইল্ডফায়ার কমউনিকেশনস, ইনকর্পোরেটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা), নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং ক্রিস হোয়াইট (ওয়েবটিভি’র ডিজাইন এবং ইন্টারফেস প্রধান)। যেহেতু তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ছিলেন তাই এন্ড্রয়েড প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম চালাত অনেকটা লুকিয়ে। প্রতিষ্ঠান থেকে এটা বলা হত যে তারা শুধু মোবাইলের একটি সফটওয়্যারের কাজ করছে।

এন্ড্রয়েড ও গুগল (Android and Google)
২০০৫ সালের আগষ্ট মাসে গুগল এন্ড্রয়েড কিনে নেয় এবং এটাকে এর অধীনস্থদের (এন্ডি রুবিন, রিচ মাইনার এবং ক্রিস হোয়াইট) গুগল ইনকর্পোরেটের সহ-প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কেনার সময় এন্ড্রয়েড সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি বিস্তারিত, কিন্তু অনেকেই ধারনা করেছিল যে গুগল মোবাইল বাজারে আসতে যাচ্ছে।

এন্ড্রয়েডের উন্নয়ন ও গুগল নিয়ে গুজব (Development of Android and Rumors about Google)
গুগলে, রুবিন দ্বারা পরিচালিত দল মোবাইলের প্লাটফর্ম হিসেবে লিনাক্স কারনেল উন্নয়ন করে। গুগল এই প্লাটফর্মকে বাজারে ছাড়ে হ্যান্ডসেট এবং মোবাইল সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। শর্ত হিসেবে বলে যে তারা এর আপডেট বা উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে। গুগল কিছু হার্ডওয়্যার উপাদান এবং সফটওয়্যার অংশীদারের কথা উল্লেখ্য করে যা অনেক ক্ষেত্রে মুক্ত।
গুগলের কার্যক্রম দেখে অনেকেই মনে মনে ভাবতে শুরু করে গুগল মোবাইল বাজারে প্রবেশ করবে (২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে)। বিবিসি এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল উল্লেখ করে গুগল তাদের সার্চ ইন্জিন এবং এপ্লিকেশন মোবাইল ফোনে চালাতে চায় এবং তারা তা করার জন্য কাজ করছে। অনলাইন এবং কাগজে গুজব ছড়াতে থাকে যে গুগল তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট তৈরী করছে। কেউ কেউ মতামত দেয় যে যেহেতু গুগল কারিগরী দিকগুলোর কথা বলছে সেহেতু এটা মোবাইল ফোনের নমুনা উৎপাদক এবং নেটওর্য়াক অপারেটরদের দেখাচ্ছে। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, ইনফরমেশন উইক প্রকাশ করে যে গুগল কিছু মোবাইল এপ্লিকেশনকে প্যাটেন্ট করে নিয়েছে।

ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স (Open Handset Alliance)
৫ই নভেম্বর, ২০০৭ সালে ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স সূচনা করে যাতে ছিল ব্রডকম কর্পোরেশন, গুগল, এইচটিসি, ইন্টেল, এলজি, মার্ভেল টেকনোলজি গ্রুপ, মটোরোলা, এনভিডিয়া, কোয়ালকম, স্যামস্যাঙ ইলেক্ট্রনিকস, স্প্রিন্ট নেক্সটেল, টি-মোবাইল এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট। ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের উদ্দেশ্য হল মুক্ত ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট প্লাটফর্ম তৈরী করা। একই দিনে, ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স তাদের প্রথম পন্য এন্ড্রয়েড ছাড়ে যা লিনাক্স কারনেল ২.৬ এর উপর ভিত্তি করে তৈরী।
৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে, আরো ১৪ নতুন সদস্য যোগ দেয় যাতে ছিল এআরএম হোল্ডিংস, এথিরস কমিউনিকেশনস, আসুসটেক কম্পিউটার ইনকর্পোরেট, জারমিন লিমিটেড, হাওয়াই টেকনোলজিস, প্যাকেটভিডিও, সফটব্যাংক, সনি এরিকসন, তোসিবা কর্পোরেশন এবং ভোডাফোন গ্রুপ।

এন্ড্রয়েড লাইসেন্স (Android License)
এন্ড্রয়েড পাওয়া যেত ওপেন সোর্স লাইসেন্সের আওতায় ২১শে অক্টোবর ২০০৮ সাল পযর্ন্ত। এরপর গুগল তাদের পুরো সোর্স কোড ছাড়ে এপ্যাচি লাইসেন্সের আওতায় । গুগল তাদের প্রকাশিত কোডগুলোকে উন্মুক্ত করে সবার দেখার এবং মন্তব্য করার সুযোগ দেয়। যদিও সফওয়্যারটি উন্মুক্ত, তবুও মোবাইল প্রস্ততকারকরা এন্ড্রয়েড ব্যবহার করতে পারবে না কারণ গুগলের ট্রেডমার্ক করা অপারেটিং সিস্টেমের কপি গুগল সার্টিফিকেট প্রদান করার আগ পযর্ন্ত কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

এন্ড্রয়েড ফোনের বর্তমান প্রেক্ষাপট (Present Perspective of Android Phone)
হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট এসেছে সে তো অনেকদিনের কথা। কিন্তু সম্প্রতি স্মার্টফোন যেভাবে ইন্টারনেটের নতুন গতি ও ব্যবহার এনে দিয়েছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। আর এই স্মার্টফোন জগতেই দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে এন্ড্রয়েড (Android) এবং আইওএস (iOS)।
স্মার্টফোন জগতে বর্তমানে রাজত্ব করছে এন্ড্রয়েড। মূলত বিভিন্ন দামের ও আকার-আকৃতির এবং ব্র্যান্ডের কাছ থেকে এন্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ায় বাজারে এর গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে গেছে বহুদূর। আজ প্রায় সব ধরনের বাজেটেই রয়েছে কোনো না কোনো এন্ড্রয়েড ফোন। ইন্টারনেট মহারাজ গুগলের তৈরি এই এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম শুরুতে মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি করা হলেও বর্তমানে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলছে নেটবুক, ট্যাবলেট ও গুগল টিভিতে (এ টিভিতে গুগলের সব ধরনের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা আছে এবং এর পাশাপাশি ভিডিও দেখার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউবের ভিডিও সরাসরি দেখা যায় এ টিভিতে)। আগামীতে এই এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম রোবট চালনার কাজেও ব্যবহৃত হবে, এমন আভাস গুগল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে।

#SA

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন